নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ তৃত্বীয় ধাপে আগামী ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে এ ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী বতর্মান চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। এ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝেও শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদে বিভিন্ন সময় উন্নয়নমূলক কাজের বরাদ্দ আসলেও তা সঠিকভাবে ব্যবহার না করে আত্মসাতেরও অভিযোগ উঠেছে বর্তমান চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে। এছাড়া বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতার কার্ড বিতরনে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, নতুন করে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতার কার্ড পেতে ১২শ’ থেকে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ভাতা কার্ডের টাকা উত্তোলনের সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ২০০ টাকা করে নেয়া হয়।
এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সম্প্রতি পাকুটিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতার টাকা উত্তোলনের জন্য আসা লোকজনের কাছ থেকে ইউনিয়ন বিএনপির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে নগদ ২০০ করে টাকা নেওয়া শুরু করে। এ টাকা কয়েকজন দিতে অস্বীকৃতি জানালে ইউনিয়ন পরিষদের তুমুল হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানকে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া জন্য নির্দেশ দেন। পরে নির্দেশ পেয়ে কয়েকজনের টাকা ফেরত দেন।
পাকুটিয়া বাজারের এক ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ জানান, তাদের এই ইউনিয়নে ছয়জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে পূর্বে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাই তিনি এবার ভেবে চিন্তে যোগ্য চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ভোট দেবেন। যিনি আগামীতে সঠিকভাবে এই ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করবেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, চেয়ারম্যান-মেম্বার আগে যারা ছিল তাদের সকল কিছুই জানা রয়েছে। তাই এবার সৎ, যোগ্য প্রার্থীকে তিনি ভোট দেবেন।