সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে টাঙ্গাইলে ফেরত আসা ছয়জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে প্রত্যেককে ১৪ দিন বাসায় থেকে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন মানার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মির্জাপুর উপজেলার তিনজন, বাসাইলের দুজন এবং কালিহাতীর একজন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শামীম হোসাইন চৌধুরী ঢাকা টাইমসকে বলেন, গত মঙ্গলবার টাঙ্গাইলে আসা দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত প্রবাসীদের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে তথ্য দেওয়া হয়। পরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় তাদের ঠিকানা বের করে। গত মাসের ২১ তারিখ থেকে তারা টাঙ্গাইলে এসেছেন। তবে কারোর মধ্যে ওমিক্রনের কোনো লক্ষণ নেই। এরপরও তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া তাদের বিষয়ে নিয়মিত খোঁজ রাখা হচ্ছে। বাসাইলে আসা প্রবাসীদের বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত ওই ছয়জনকে গত মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হলে পরীক্ষা করে তাদের নেগেটিভ এলে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এর নাম দিয়েছে ওমিক্রন। বলা হচ্ছে, করোনার নতুন ধরনটি আগের সব ধরনের চেয়ে বেশি সংক্রামক হতে পারে। এর স্পাইক প্রোটিন মূল করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন থেকে ভিন্ন হওয়ায় এই ধরন প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত উদ্ভাবিত টিকাগুলো কার্যকর নাও হতে পারে।