নিজস্ব প্রতিবেদক : নিরীহ মানুষকে হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে টাঙ্গাইল সদর থানার এক উপপরিদর্শককে প্রত্যাহার এবং তার তথ্যদাতা (সোর্স) আবু বাক্কারকে চাঁদাবাজির মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যাহার করে নেয়া ওই উপপরিদর্শকের নাম জেসমিন আক্তার। রোববার সকালে তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
একইসাথে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে ঘটনা প্রমাণিত হলে এসআই জেসমিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তথ্যদাতা আবু বাক্কারকে সদর উপজেলার বেলতা গ্রামের আয়নাল হকের দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার উপপরিদর্শক জেমসমিন আক্তারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হয়রানির অভিযোগে শনিবার রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রক্ষিত বেলতা গ্রামবাসী থানা ঘেরাও করে। এ সময় এলাকাবাসী এসআই জেসমিনের বিচার চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। পরে পুলিশ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাত নয়টার দিকে থানা চত্ত্বর ত্যাগ করে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কিছুদিন আগে রক্ষিত বেলতা গ্রামে একটি হত্যাকান্ড ঘটে। সেই হত্যাকান্ডের ঘটনা তদন্তের নামে টাঙ্গাইল সদর থানার উপপরিদর্শক জেসমিন আক্তারের তথ্যদাতা পরিচয়ে ওই এলাকার আবু বাক্কার স্থানীয়দের অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করে। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে হত্যা মামলায় আসামি করার হুমকি দেয়া হয়।
এছাড়াও উপপরিদর্শক জেসমিনের প্রভাব খাটিয়ে গ্রামের মানুষদের নানাভাবে হয়রানি করে। শনিবার বিকালে আবু বাক্কার বেলতা গ্রামের আয়নাল হোসেনের কাছে অর্থ দাবি করে। টাকা না দিলে ওই হত্যা মামলায় তাকে ফাঁসিয়ে দেয়া হবে বলে শাসায়। এ ঘটনায় গ্রামবাসী তাকে আটক করে। খবর পেয়ে উপপরিদর্শক জেসমিন তাকে উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসী তাকেও ঘিরে ধরে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে। সন্ধ্যার পর গ্রামবাসী একত্র হয়ে জেসমিনের বিচারের দাবিতে থানায় এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে।