ধনবাড়ী প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। বিভিন্ন উন্নত জাতের সরিষা বারি-১৪ ও ১৭ জাতসহ বিভিন্ন স্থানীয় জাতের সরিষা আবাদ করা হয়েছে। সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গিয়েছিল দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ। এরপর ফুল থেকে সরিষার ছেঁই গজিয়ে বাম্পার ফলনের আভাস দিচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় সরিষার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর এ উপজেলায় ৯৯০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছিল। এবার এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে এবার ২শ’ ১০ হেক্টর জমিতে সরিষা বেশি আবাদ হয়েছে। মোট আবাদকৃত জমির মধ্যে ৩৭০ হেক্টর জমিতে বারি-১৪ ও ১৭ জাতের সরিষা সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয়েছে।
ধান চাষ করে প্রতিবারই লোকসান গুনার কারনে কৃষকরা সরিষা আবাদে লাভজনক হওয়ায় ঝুঁকে পড়েছ সরিষার আবাদের দিকে। সরিষা আবাদ করে এ উপজেলায় সাবলম্ভী হয়েছেন অনেক কৃষকও। অপরদিকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ সরিষা চাষে কৃষকদেরকে উৎসাহিত করার নানাভাবে প্রণোদনা দিয়েছেন। সে প্রেক্ষিতে ১৬০ জন কৃষককে প্রতি বিঘার জন্য ১০ কেজি এমওপি সার, ২০ কেজি ডিএপি সার এবং ১ কেজি করে বীজ বিনামূল্যে প্রদান করেছেন।
উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নের উত্তর পাড়ার কৃষক নবউল্লাহ মন্ডল জানান, তিনি এবার ৩ বিঘা জমিতে বারি-১৪ ও ১৭ জাতের সরিষার চায় করেছেন। প্রচুর ফুল ফুটেছিল এবং তা থেকে পরিপূর্ণ ছেঁইও ধরেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার অনেক ভালো ফলন হয়েছে। আশা করি এবার বামম্পার ফলন হবে।
পৌর শহরের চালাষ গ্রামের কৃষক জামাল ফকির জানান, সরিষা বীজ বপনের ২ মাসের মধ্যেই সরিষা ঘরে উঠে আসে। সরিষা উঠিয়ে বোরো চাষ করতে কোন সমস্যা হয় না এবং তাতে করে বোরো ধানের ফলনও বেশি হয়। আর সরিষার আবাদ করা মানেই অতিরিক্ত লাভের মুখ দেখা।